আর্থনীতিক বৈষম্যের অবসান চাই
- আপলোড সময় : ০৪-০৩-২০২৫ ০২:৩২:১৭ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৪-০৩-২০২৫ ০২:৩২:১৭ পূর্বাহ্ন

ইদানিং বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করে বক্তব্য দিচ্ছেন দেশের প্রখ্যাত রাজনীতিকরা। আসলে এই আকাক্সক্ষা দেশের সাধারণ মানুষের, যাদেরকে বেসরকারি নাগরিক বলা যায়। বৈষম্য দূর করার মতাবলস্বী হওয়া যতোটা সহজ ততোটাই কঠিন বৈষম্য দূর করা। এই জন্যে কঠিন যে, কোনও সমাজ থেকে সামাজিক-রাজনীতিক বৈষম্য দূর করতে হলে সর্বাগ্রে সমাজসদস্যদের মধ্যে বিদ্যমান আর্থনীতিক বৈষম্যকে দূর করতে হবে এবং এই আর্থনীতিক বৈষম্য দূর করতে হলে প্রথমেই সমাজ থেকে উৎপাদনের উপকরণের উপর ব্যক্তিমালিকানার অবসান ঘটাতে হবে। অর্থাৎ সমাজে উৎপাদনের উপকরণের উপর ব্যক্তিমালিকানা বজায় রেখে সমাজ থেকে মানুষে মানুষে বৈষম্য দূর করার স্বপ্ন দেখা যাবে বটে, কিন্তু কখনওই বাস্তবে বৈষম্য দূর করা যাবে না। প্রকারান্তরে দখল, ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি, চাঁদাবাজি, জালিয়াতি, ব্যাংকডাকাতি, মানবপাচার, মাদকব্যবসা, ঋণখেলাপি হওয়া, বিদেশে সম্পদ পাচার, ভোটডাকাতি, খুন, ধর্ষণ ইত্যাদি অপকর্মে পুষ্ট সংস্কৃতির চর্চা চলতেই থাকবে, কীছুতেই বন্ধ হবে না।
ভুলে গেলে চলবে না, মানুষ এই অপকর্মগুলো করে নিজের জন্যে সম্পদসঞ্চয় করা ও সম্পদসঞ্জাত ক্ষমতা লাভের জন্য। তাই, আগে চাই সমাজ থেকে সম্পদের উপর ব্যক্তিগত মালিকানার অবসান এবং সেটা কেবল তখনই সম্ভব যখন বৈষম্য দূর করার আর্থনীতিক কর্মসূচি সমাজে কার্যকর করা যাবে। তাই যে রাজনীতিক দল চাইবে দেশ থেকে বৈষম্য দূর করতে সে রাজনীতিক দলকে অবশ্যই প্রথমে বৈষম্য দূর করতে পারে এমন আর্থনীতিক কর্মর্সূচি গ্রহণ করতে হবে, বৈষম্য দূর করার স্বপ্ন দেখলেই হবে না। তাছাড়া সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের রাজনীতিক-আর্থনীতিক কর্মসূচি ঘোষণা ও সে ঘোষণা বাস্তবায়নের কাজ করতে হবে। তাছাড়া তারও আগে চাই সে কর্মসূচি অব্যর্থ করে তোলার পক্ষে সক্ষম রাজনীতিক দলের কর্মক্ষম কর্মীবাহিনী। এই সব শর্ত পূরণ না করে বৈষম্য দূর করার ঘোষণা ভাজা বরফ ছাড়া আর কীছুই নয়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ